প্রশ্নটা এরকম যে রাগ খুব বেড়ে গেছে এই রাগটাকে কমাবো কি করে? কথায় কথায় রেগে যাওয়া মানুষদের কে আমরা একটা নাম দিয়। সাধারণত সেই নামটা হচ্ছে বদমেজাজি এবংবদমেজাজি মানুষদেরকে কিন্তু সব জায়গায় বাদের খাতায় রাখা হয় কিসের খাতায় বাদের খাতায় । যারা কথায় কথায় রেগে যান এই মানুষদেরকে সম্পর্কের দিকে বড় বড় মিটিংয়ে পার্টিতে সমস্ত জায়গায় বাদের খাতায় রাখা হয় এদেরকে কখনো টিক মার্ক এর খাতায় রাখা হয় না।
বদমেজাজি মানুষরা তাদের জীবনে যতটা না পেয়েছেন তার থেকে 100 গুণ বেশি হারিয়েছেন শুধুমাত্র তাদের রাগের কারনে। একটা কথা আছে দয়া দাক্ষিন্ন পুন্ন এই সমস্ত কাজ বাড়ি থেকেই শুরু হয় সবার প্রথমে। তো রাগ ব্যাপারটা ও কিন্তু সেরকম বাড়ি থেকেই আমাদের মধ্যে রাগের উৎপত্তি হয় এবং বাড়ি থেকেই আমরা এটা কমাতে পারি। কিভাবে কমাতে পারি সেটা বলব আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে বলব কিন্তু তার আগে আরেকটা বিষয় বলবো যে সেটা হচ্ছে বদমেজাজি মানুষদেরকে কিন্তু সাধারণত মানুষরা খুব একটা ভালো ভাবে পছন্দ করে না ভালোভাবে নেয় না। না না এর সাথে বেশি কথা বলা যাবেনা একে সাইড করে রাখতে হবে। একসাথে সবাই অনেক জায়গায় হয়েছে আনন্দ করছে সেখানে সে মানুষগুলো থাকলে সবকিছু শেষ করে দিতে পারে ফ্যামিলিতেও ফ্যামিলির বাইরেও সমস্ত জায়গায়। তো আজকে যদি তোমার মধ্যে এরকম ব্যাপার থাকে যে তুমি খুব তাড়াতাড়ি রেগে যাও কথায় কথায়। তাহলে আমি এমন তিনটি পয়েন্ট বলব যে তিনটে পয়েন্টকে যদি তুমি কাজে লাগাতে পারো একটু বুঝতে পারো তাহলে হয়তো তোমার রাগ কমে যেতে পারে এবং সেটা অবশ্যই বাড়িতে বসেই কমে যেতে পারে। সেটা তোমাকে কিছু করতে হবে না জাস্ট বাড়িতে বসে আমি যেটা বলবো সেটা শুনবে তাহলে রাগ কমে যেতে পারে।
চলে যাচ্ছি প্রথম পয়েন্টে রাগ কমানোর প্রথম পয়েন্ট সেটা হচ্ছে আন্ডারস্ট্যান্ডিং মানে বোঝা। যে কোন জায়গায় আমি রাগ করবো আর কোন জায়গায় আমি রাগ করবো না। আমরা সবাই মানুষ। রাগ আমাদের মধ্যে থাকবে না। এমন তো হতে পারে না যে একজন মানুষের রাগিই নেই রাগ সবার আছে কম কারও বেশি। বেশিদের বদমেজাজি বলি। প্রথমতো এটা বুঝো যে রাগ তোমার একটা চয়েজ তুমি বাড়ির লোকের যেই কথাগুলোর প্রতি রাগ করো সেই কথাটাই বাইরের কেউ বললে তুমি হয়তো রাগ করবে না। বাড়ীর লোকের ওপর তুমি সহজেই রাগ দেখাও কিন্তু বাইরে একটা পুলিশ যদি তোমাকে কিছু বলে তুমি তো মাথা নিচু করে থাকবে। তখন তুমি রাগ দেখাতে পারবে না। তখন তুমি রাগ দেখালে ডান্ডা পেটা করে সোজা করে দেবে তারা তোমায়। তার মানে রাগ হল তোমার চয়েস তুমি ঠিক করতে পারো যে কোথায় আমি রাগ করব কোথায় করব না। আমরা সাধারনত রাগ করি কোথায় বলতো খুব বেশি আমাদের কম্ফর্ট জোনে। আমাদের কমফোর্ট জোন কারা আমাদের ফ্যামিলির লোক বাবা-মা-ভাই-বোন husband-wife গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডের এদের উপর আমরা খুব সহজেই রাগ দেখাতে পারি কারণ আমরা জানি যে এই মানুষগুলো হলো তারা যাদের উপর রাগ দেখালে আমাদেরকে তারা কখনো ছেড়ে চলে যাবে না। সেতো বুঝলাম সে তোমায় ছেড়ে যাবে না তুমি রোজ রাগ দেখালেও সে তোমায় ছেড়ে যাবে না এটা তো ঠিক। কিন্তু এটা কি কখনো ভেবে দেখেছো প্রত্যেকদিন তাদেরকে রাগ দেখাতে দেখাতে প্রত্যেকদিন খিটখিটে হয়ে থাকতে থাকতে তুমি ভেতরে ভেতরে যে মানুষটা তৈরি হচ্ছো সেই মানুষটা হচ্ছে সবথেকে বাজে একটা মানুষ । যাকে কেউ পছন্দ করে না। হ্যাঁ তুমি সেই বাজে মানুষটাই তৈরি হচ্ছো যাকে তুমিও পছন্দ করো না। বদমেজাজি বাজে একটা মানুষ যে কথায় কথায় রেগে যায় তাকে সবাই এভয়েড করে চলে। এরকম একটি মানুষ তুমি হয়ে যাচ্ছ। বাড়িতে বাবা মার উপর রাগ করতে করতে ফ্যামিলি অন্যান্য মেম্বারদের উপর রাগ করতে করতে এটা তোমার একটা স্বভাব হয়ে যাচ্ছে। যে কোনো জায়গায় কথায় কথায় রেগে যাওয়া, জলদি রেগে যাওয়্ হঠাৎ করে রেগে যাওয়া আস্তে আস্তে তুমি বাইরের লোকের সাথে একই বিহেভিয়ার করতে থাকো এবং এক সময় এমন হয় যেখানে কেউ তোমাকে আর পছন্দ করেনা সবাই তোমায় এভয়েড করে যায় আজ থেকে আমাকে ডিসিশন নিতে হবে যে আমি কোথায় রাগ করব আর কোথায় করব না। এমন সময় হয় পারে যেখানে রাগ দেখানো টার কোন মানে হয় না তাও তুমি রাগ দেখাও।
তো সেকেন্ড পয়েন্ট। সেকেন্ড পয়েন্টটা কিন্তু প্রথম পয়েন্টের সাথে জড়িত খুব কাজে লাগবে। সেটা হচ্ছে নো দা ডিফারেন্স বিটুইন রিপ্লাই এন্ড রিএকশন। বাড়ি থেকে শুরু করতে হবে প্র্যাকটিস টা কিরকম প্র্যাকটিস রিয়াক্ট কাকে বলে হিট অফ দ্যা মোমেন্ট তুমি যেই উত্তরটা দাও সেটা হচ্ছে রিঅ্যাকশন। কেউ তোমায় কিছু একটা বলল সঙ্গে সঙ্গে রেগে গেলে। সঙ্গে সঙ্গে কিছু তোমাকে বলতে হবে সঙ্গে সঙ্গে তোমাকে রাগ করতে হবে। তোমার রাগে মাথার চুল দাড়ি লোম দাঁড়িয়ে গেল এত রাগ হয়ে গেল তোমার এটা হচ্ছে রিঅ্যাকশন। হিট অফ দা মোমেন্টে তুমি একটা কোন উত্তর দিচ্ছো আর মাথায় রেখো হিট অফ দা মোমেন্টে তুমি যখনই যেকোনো জায়গায় লাইফের যে কোন ফিল্ডে যাই করবে সেটা ফেইলিয়ার হওয়ার চান্স আছে কিন্তু অনেক বেশি। সেখানে তোমাকে এ্যাভয়েড করার চান্স অনেক বেশি । তোমাকে রিপ্লাই দিতে শিখতে হবে। রিপ্লাই কাকে বলে তোমার বাবা কিছু একটা বললো যেটাতে তোমার খুব রাগ হলো । তার দিক থেকে সে সঠিক.।
তোমাকে সেটা বুঝতে হবে তোমায় কেউ কিছু একটা বললো তুমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটা কিছু উত্তর না দিয়ে আগে
নিজে একটুখানি ভাবো। সে
কি বলতে চাইলো। সে
তার দিক থেকে ব্যাপারটা সেরকম ভাবে দেখছে যেটা তোমার দিক থেকে সঠিক মনে হচ্ছে না। হয়তো তার দিক থেকে সেটা অন্য রকম কিছু একটা মনে হচ্ছে । তুমি একটু ভাবো তাহলেই তো তুমি ম্যাচিউর
হলে। নাহলে একটা বাচ্চা ছেলের সাথে তোমার পার্থক্য কোথায়? তোমাকে
একটু decision-making
করতে হবে যে ঠিক আছে।
এই ঘটনাটা তার সঠিক আছে তখন তুমি তাকে যে রিপ্লাইটা দেবে
সে রিপ্লাই টা এমন ভাবে
দেবে যাতে সেটা রাগ দেখানো না। হয়
সেই রিপ্লাই
তুমি এমন ভাবে ও ঘুরিয়ে দিতে
পারো যেটা তার কাছে শুনতে ভালো লাগবে । যেটা কখনোই এমন মনে হবে না যে তুমি
রেগে গিয়ে বলছো বা বদ মেজাজ
দেখাচ্ছ । একই উত্তর যেটা রেগে গিয়ে দিতে পারতে সেটাকে এমন ভাবে দাও যাতে তার শুনে মনে হয়ে যে না না
না ও তো ঠিক
বলছে।
বুঝলে? যেটা রেগে গিয়ে উত্তর দিতে পারো সেটা কি একটু সময়
নিয়ে ভেবে অন্যরকম ভাবে সকলের সামনে প্রেজেন্ট যায় না?
এবং তিন নম্বর চ্যারিটি বিগিনস্ অ্যাট হোম ঠিক সেই জিনিস তুমি ধর এক দিনে দশবার রেগে যাও। দশটা কথায় রেগে যাও তুমি প্রথম এক সপ্তাহ এটা প্র্যাকটিস করো যে আমি দশটা বিষয়ে রেগে যাই ঠিক আছে। আমি এই দুটো বিষয় পার্টিকুলার দিনে দুবার নিজেকে কন্ট্রোল করব রাগ করবোনা । কথাগুলো মনে রেখে কন্ট্রোল করব আমি যেগুলো বললাম সেগুলো কে ফলো করবে পরের দুসপ্তাহে আরো দুটো এক্সট্রা জিনিস এড করে দিলে মানে এক সপ্তাহে তুমি দুটো কন্ট্রোল করতে পরের সপ্তাহে তুমি চারটা জিনিস কন্ট্রোল করছো। এমন সময় আসছে সেখানে তুমি রেগে যাচ্ছ কিন্তু তুমি রাগলেনা পরের সপ্তাহে ৪ বার তুমি ব্যাপারটাকে ভালো ভাবে ভাবলে এভাবে এভাবে আস্তে আস্তে এক মাস বাদে বা দুমাস বাদে দেখবে তোমার রাগ আগের থেকে অনেক কমে গেছে কারণ এতদিন ধরে তুমি নিজেকে কন্ট্রোল করার একটা প্র্যাকটিস করেছো। আমি রাগ করবো না আমি এখানে কন্ট্রোল করব । হ্যাঁ আবার যেখানে রাগ দেখানো সেখানে অবশ্যই রাগ দেখাবে এমন তো হতে পারে না যে তুমি একদম সাধু সন্ন্যাসী হয়ে গেলে । রাগী করছো না। ঠিক আছে ওরা যা করছে ভগবান তুমি ওদের ক্ষমা করে দাও। আমাদের পক্ষে পসিবল হয় না সব সময় কারণ আমরা তো সাধারন মানুষ কিন্তু আমরা কন্ট্রোল করতে পারি পুরোপুরি রাগ একদম মুছে দেওয়া পসিবল হবে না কিন্তু কন্ট্রোল আমরা করতে পারি তাইতো ?